নতুন দের জন্য ব্লগিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে টপিক চয়েস করার কিছু পরামর্শ
নতুন দের জন্য ব্লগিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে টপিক চয়েস করার কিছু পরামর্শ
ব্লগিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ একজন নিউ বি হিসাবে টপিক বা নিস চয়েস করার ব্যাপারটা খুব ঝামেলার একটি কাজ। তাই এই টপিক টির উপরে আমি আজকে আপনাদের কিছু পরামর্শ দেবো। যদি আপনি একজন নতুন হয়ে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুব হেল্পফুল হবে।
নতুন দের জন্য ব্লগিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে টপিক চয়েস করার কিছু পরামর্শ |
আর আমার রিকমেন্ডেশন থাকবে, প্লিজ এই আর্টিকেলটি লাস্ট পর্যন্ত ভালো করে পড়ে নিবেন তাহলে টপিক সিলেক্ট করার উপরে যত রকমের ভুল ধারণা আপনার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে সব গুলো ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
তো চলুন শুরু করি
সো এই আর্টিকেলটিতে আমি দুই পক্ষের জন্যই দুইটা প্রস্পেক্টিভ থেকে বলব !
তো শুরুতে আমি তাদের জন্য বলব যারা অলরেডি কোন বিষয়ে এক্সপার্ট যেমন আমার অনেক ফ্রেন্ড রয়েছে যারা গ্রাফিক্স ডিজাইন, সফটওয়্যার ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ভিডিও এডিটর এ ধরনের বিভিন্ন কাজ গুলি তারা জানে এবং এই কাজগুলি করে তারা একটা ভালো ইনকাম জেনারেট করতে পারছে
তো আমি যে কথাটা আপনাদেরকে বলতে যাচ্ছি যে এই টপিক গুলি বা আদার্স যে কোন টপিক গুলির যেকোনো একটিতেও যদি আপনি এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে আপনি একটা ভালো পরিমাণ ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন ব্লগিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এই দুই ধরনের প্লাটফর্ম কে ইউজ করে
আপনাদেরকে একটা উদাহরণ দিচ্ছি
আপনি যদি একজন মেডিকেল স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে আপনি একটি হেলথ কেয়ার রিলেটেড ব্লগ তৈরি করে সেখানে আপনি হেলথ রিলেটেড আর্টিকেল লিখতে পারেন বা বিভিন্ন মেডিসিন বা মেডিসিনের টুল গুলোর উপরে আপনি রিভিউ লিখতে পারেন তাহলে এখানে আপনি ব্লগিং থেকে গুগল এডসেন্স এবং আদার্স থার্ড পার্টি advertiser's দের কাছ থেকেএকটা ভালো পরিমাণ আর্নিং করতে পারবেন !
এবং এর পাশাপাশি আপনি হেলথ রিলেটেড প্রোডাক্টের রিভিউ এর ক্ষেত্রে সেই রিলেটেড প্রোডাক্ট গুলির অ্যাফিলিয়েট লিংকগুলি আপনার আর্টিকেলটিতে দিয়ে দিতে পারেন যখন আপনার ভিজিটর সেই এফিলিয়েট লিঙ্ক থেকে সে প্রোডাক্ট টি পারচেস করবে তখন তার থেকে কিছু কমিশন আপনি অ্যাফিলিয়েট হিসাবে পেয়ে যাবেন সো এইভাবে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে একটি ব্লগ থেকে দুইভাবে ইনকাম করতে পারছেন
এবং এর পাশাপাশি আপনি হেলথ রিলেটেড প্রোডাক্টের রিভিউ এর ক্ষেত্রে সেই রিলেটেড প্রোডাক্ট গুলির অ্যাফিলিয়েট লিংকগুলি আপনার আর্টিকেলটিতে দিয়ে দিতে পারেন যখন আপনার ভিজিটর সেই এফিলিয়েট লিঙ্ক থেকে সে প্রোডাক্ট টি পারচেস করবে তখন তার থেকে কিছু কমিশন আপনি অ্যাফিলিয়েট হিসাবে পেয়ে যাবেন সো এইভাবে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে একটি ব্লগ থেকে দুইভাবে ইনকাম করতে পারছেন
আরেকটা উদাহরন দিচ্ছি
আপনি যদি একজন ওয়েব ডেভেলপার হয়ে থাকেন বা সফটওয়্যার ডিজাইন করতে পারেন তাহলে আপনি এই ওয়েব ডেভেলপার বা সফটওয়্যার ডিজাইন এর উপরে একটা ব্লগ তৈরি করে সেখানে টিউটোরিয়াল আকারে আর্টিকেল পাবলিশ করতে পারেন যেখানে আপনি বিগেনারদের এই বিষয় গুলোর উপরে হেল্প হেল্প করতে পারেন।
নতুন দের জন্য ব্লগিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে টপিক চয়েস করার কিছু পরামর্শ
এছাড়াও সেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের প্রিমিয়াম থিম, প্লাগইন, টেমপ্লেট, ডোমেইন-হোষ্টিংএইসব টপিক গুলোর উপরে নতুনদের গাইড করার মাধ্যমে আপনার আর্টিকেলে এগুলির এফিলিয়েট লিঙ্ক প্রোভাইড করতে পারেন।তাহলে যে কেউ এই টপিক গুলো জানার পাশাপাশি আপনার এই এফিলিয়েট লিঙ্ক থেকে যদি জয়েন হয় তাহলে এখানে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকেও একটা ভালো পরিমাণ ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। এবং আপনার ব্লগ তো রয়েছেই।
ব্লগ থেকে গুগল এডসেন্স এবং আদার্স থার্ড পার্টি Advertiser'sদের কাছ থেকে ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন তাহলে এখানেও আপনি দুই রকম ইনকামের সোর্স পেয়ে গেলেন।
তো আপনাদের জন্য আমার প্রস্পেক্টিভ টি হলো, আপনি যে বিষয়টা তে অলরেডি এক্সপার্ট সেই বিষয়টার উপরেই দেরি না করে একটা ব্লগ শুরু করে দিন। আপনার বিষয়টা যতই সিম্পল হোক না কেন প্রথমে আপনি সে বিষয়টার উপরেই শুরু করুন দেখবেন আস্তে আস্তে আপনি আরো ভালো ভালো টপিক খুঁজে পেয়ে যাবেন এবং সেই টপিক গুলোর উপরে আপনি প্রফেশনাল মানের ব্লগিং করতে পারবেন এবং আপনার ক্যারিয়ার ডেভেলপ করতে পারবেন
এবার যারা এই ব্লগিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ফিল্ডে নতুন তাদের জন্য আমার পরামর্শ
নতুনদের জন্য আমি বলব আপনারা প্রথম দিকে যে কোন একটা টপিকের উপর একটা ব্লগ তৈরি করে ফেলুন। একটা ফ্রিতে প্রফেশনাল মানের ব্লগ কিভাবে সেটাপ করতে হয় তার উপরে আমার এই ব্লগে একটা ব্লগিং সিরিজ তৈরি করা আছে আপনারা সেটা ফলো করতে পারেন।
কারণ এই টপিক সিলেক্ট করা, অ্যাফিলিয়েট প্লাটফর্মে সাবমিট করা, যেখানে সেখানে লিঙ্ক পেস্ট করা এই ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন।
গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল নেওয়া বা এফিলিয়েট লিংক জেনারেট করা বা আর্নিং এর বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা এগুলো কিন্তু ব্লগিং নয়। আমরা ব্লগিং তাকেই বলব যেখানে আপনার একটা ব্লগ বা ওয়েবসাইট থাকবে, সেখানে আপনি যে কোন বিষয়ের উপর লিখতে পারেন আর সেই বিষয়টা যতটাই সহজ বিষয় হোক না কেন। আমি জানি পৃথিবীর প্রতিটা মানুষের কাছে কিছু না কিছু একটা ক্রিয়েটিভিটি রয়েছে তো সেই ক্রিয়েটিভিটি টা ব্লগের মাধ্যমে আপনাকে প্রকাশ করতে হবে।
নতুন দের জন্য ব্লগিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে টপিক চয়েস করার কিছু পরামর্শ
যদি আপনার কাছে একটা ভালো ব্লগ থেকে থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই ভালো পরিমান ইনকাম করতে পারবেন আর সেটা যেভাবেই হোক না কেন। কিন্তু প্রথম দিকে আপনাকে ইনকামের দিকে ধ্যান দিলে চলবে না, প্রথমে আপনাকে একটা লক্ষ্য স্থির করতে হবে যে আমাকে একটা ভালো ব্লগ তৈরি করতে হবে, সেখানে ভালো ভালো কিছু কনটেন্ট পাবলিশ করতে হবে এবং সে ব্লগটাতে যেন ভিজিটর ভালো হয়। তারপর আপনি যেটা ইচ্ছা করবেন সেটাই করতে পারবেন। এইখানে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের লিংক পাবলিশ করতে পারবেন, সিপিএ মার্কেটিং করতে পারবেন, তারপরে অ্যাডসেন্সের অ্যাপ্রভাল নিয়ে নিতে পারবেন খুব সহজেই।
তার জন্য আপনাকে প্রথমেই একটি ভাল ব্লগ কিভাবে সেটআপ করা যায় তার উপরেই সম্পূর্ণ গুরুত্ব দিতে হবে।
এইবার আমি আপনাদের কে কিছু ব্যাসিক টপিকের কথা বলব যেগুলো নিউবিরা খুব সহজেই করতে পারবেন। কোনো এক্সট্রা সময় না দিয়েও। তো চলুন দেখে নেওয়া যাক কি কি সেই বেসিক লেভেলের কাজগুলি।
1. ইউটিউব নিয়ে লেখালিখি করা
প্রথমদিকে আপনি ইউটিউব নিয়ে লেখালেখি করতে পারেন। যেমন একটি ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে ক্রিয়েট করতে হয়, কিভাবে ইউটিউব ভিডিওর জন্য একটি প্রফেশনাল মানের থাম্বনেল করতে হয়, বা কিভাবে ইউটিউব চ্যানেলের জন্য একটি লোগো তৈরি করতে হয়, ভিডিও কিভাবে এডিট করতে হয় তার উপর,বা কিভাবে ইউটিউব ভিডিওতে বেশি বেশি ভিউজ পাওয়া তার উপর।
এছাড়াও ইউটিউব চ্যানেলটি নিয়ে আরও অনেক কিছু লেখা যায়, যেমন আপনি ইউটিউব টিপস এন্ড ট্রিকস লিখে ইউটিউব এ সার্চ করবেন সেখানে অনেক রকম ভিডিও গুলো আপনি পেয়ে যাবেন
তো আপনি সেই ভিডিও গুলি থেকে একটা আইডিয়া নিয়ে আপনি আপনার ব্লগে লিখতে পারেন।
2. ফেসবুক নিয়ে লেখালেখি করা
এই একই রকম জিনিস গুলি ফেসবুক নিয়েও আপনি লিখতে পারেন যেমন কিভাবে একটি ফেসবুকের পেইজ তৈরি করতে পারবেন, কিভাবে ফেসবুকের সাথে আপনি একটি ই-কমার্স shop সেট আপ করতে পারবেন,
কিভাবে বেশি বেশি ফলোয়ার gain করতে পারবেন, বা আপনার পেজটিকে বেশি বেশি লোকের কাছে পৌঁছানোর জন্য কিভাবে আপনি paid প্রমোশন করতে পারেন এই টপিক গুলো নিয়ে আপনি লিখতে পারেন আপনার ব্লগে।
3. বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর উপর রিভিউ লেখা
নতুনদের জন্য আরেকটি খুব বেসিক লেভেলের কাজ হলো বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর উপর রিভিউ লেখা এইজন্য আপনি অনলাইন থেকে যে কোন একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট কে বেছে নিবেন। ধরুন amazon.com
তো সেখানে আপনি যদি ক্যাটাগরিতে ক্লিক করেন তো অনেক রকম ক্যাটাগরি আপনি সেখানে দেখতে পাবেন। উদাহরণস্বরূপ ধরুন আপনি ম্যান ফ্যাশন ক্যাটাগরি টি সিলেক্ট করলেন তাহলে এবার যেটা কাজ করবেন সেটা হল আপনি বিভিন্ন ধরনের ম্যান ফ্যাশন গুলির উপরে একটি আর্টিকেল লিখতে পারেন এবং সে আর্টিকেলে আপনি সেই ফ্যাশন টির গুণাবলী তার স্টাইল, সাইজ গুলি মেনশন করে দিবেন।
নতুন দের জন্য ব্লগিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে টপিক চয়েস করার কিছু পরামর্শ
তো এখানে আপনি দুই ধরনের ইনকামের সোর্সস পেয়ে যাচ্ছেন যেমন এখানে আপনি গুগল এডসেন্স এর পাশাপাশি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও করতে পারছেন। এই আর্টিকেলটিতে আপনি সেই ফ্যাশনটির সম্পর্কে বলার পাশাপাশি আপনি প্রোডাক্টের অ্যাফিলিয়েট লিংক সেখানে প্রোভাইড করছেন, এইবার আপনার ভিসিটররা যখন আপনার এই আর্টিকেলটি পড়ে এবং সে অ্যাফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে amazon.com এ গিয়ে প্রোডাক্ট টি পারচেজ করবে তখন আপনি সেই প্রোডাক্ট এর কিছু কমিশন পেয়ে যাবেন।
এছাড়াও আরো অনেক রকম টপিক রয়েছে যে টপিক গুলো নিয়ে নতুনরা শুরু করতে পারেন। আমি এই আর্টিকেলে খুব সহজ সহজ টপিক গুলো নিয়ে কথা বললাম নতুনদের জন্য। এছাড়াও আরও এই টপিক রিলেটেড গাইড পাওয়ার জন্য আমার এ ব্লগটি ফলো করতে পারেন আমি প্রতিনিয়ত ঐ বিভিন্ন ধরনের টপিকের উপর আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি।
তো এখান থেকে শেষ করলাম আজকের আর্টিকেলটি। দেখা হবে নেক্সট আর্টিকেলএ, ততক্ষণ সবাই ভালো থাকবেন, আপনার পরিবারের খেয়াল রাখবেন, খোদা হাফেজ !
No comments