Zero Investment Business Online | (Part Time) অনলাইনে আর্থিক সচ্ছলতা পেতে এই 5 টি কাজ করুন

আসসালামো আলাইকুম বন্ধুরা,

একটি সময় ছিল যখন মানুষকে পড়াশোনা শেষ করার পর শুধুমাত্র চাকরির প্রত্যাশায় থাকতে হতো, কিন্তু ইন্টারনেটের প্রসার ঘটার সাথে সাথে চাকরির পাশাপাশি অন্যান্য হাজারো সুযোগ তৈরি হতে শুরু করে !

প্রায় সব ধরনের প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম এখন অনলাইনে নিয়ে আসছে যার ফলে তৈরি হচ্ছে লাখো চাকরির পথ এবং সুযোগ !

Zero Investment Business Online

এবং এটি ছাড়াও ইন্টারনেট কে ব্যবহার করে যে কেউ চাইলে তার নিজের একটি উদ্যোগ বা ব্যবসা শুরু করতে পারে ! আপনিও যদি এমন সব সুযোগ গুলি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অভিনন্দন !

আজকে আমরা ইন্টারনেটের কিছু জনপ্রিয় পেশা সম্পর্কে জানব যা বিশ্ব জুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ করে যাচ্ছে সাফল্যের সাথে !

1. Start a YouTube Channel:-

ধনীদের তালিকা প্রকাশ করা বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন Forbes 2018 সালে 10 জন ধনী ইউটিউবার দের একটি তালিকা প্রকাশ করে ! যেখানে দেখা যায় প্রতিটি ইউটিউবারের বার্ষিক উপার্জন 14 থেকে 22 মিলিয়ন ডলার !

এছাড়াও Business Insider ও ধরনের একটি তালিকা প্রকাশ করে 2019 সালের এপ্রিল মাসে ! যেখানে 10 জন Highest-Paid ইউটিউবারদের তালিকা প্রকাশ করা হয় !

ইউটিউব Revolution হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে ইউটিউব মানুষকে উপার্জন করার উপায় তৈরি করে দিয়েছে ! যে কেউ চাইলে একটি ইউটিউব চ্যানেল শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিডিও আপলোড করতে পারেন ! এবং সে ভিডিওগুলোকে মনিটাইজ করার মাধ্যমে উপার্জন করতে পারবেন !

নিজের সৃজনশীলতাকে ইউটিউবে কাজে লাগিয়ে একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে শুধুমাত্র উপার্জনই নয় বরং স্থায়ীভাবে আর্থিক সচ্ছলতা পাওয়া সম্ভব !

যা অলরেডি ইন্ডিয়া জুড়ে সারা বিশ্বের দৃশ্যমান !

2. Start a Blogging Website:-

ব্লগ মানে হচ্ছে ওয়েব সাইটে বিভিন্ন বিষয়ের উপরে লেখালেখি করা ! এবং একটি ব্লগ সাইট কে মনিটাইজ করার পদ্ধতি ইউটিউব চ্যানেলের মতই ! যেমন গুগোল এডসেন্স, এফিলিয়েট মার্কেটিং এবং পণ্য বা সার্ভিস অফার করা !

একটি সময় ছিল যখন মানুষকে তার লেখা প্রকাশ করার জন্য কোন প্রকার প্রকাশক বা পত্র-পত্রিকা অনুমতির প্রয়োজন হতো ! অভিজ্ঞ বা ভালো না লিখতে পারলে বেশিরভাগ সময় সেই লেখা প্রকাশ করা হতো না ! যা ছিল নতুন লেখকদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয় !

কিন্তু ইন্টারনেট প্রসারের সাথে সাথে এই বাধা এখন অনেকটাই অতিক্রম করা সম্ভব হয়েছে !

ওয়াডপ্রেস এর মত ওয়েবসাইট তৈরি করার সফটওয়্যার কে ব্যবহার করে খুব সহজেই যে কেউ একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলতে পারে !

এবং নিজের লেখা কনটেন্ট যেকোনো সময় প্রকাশ করার মাধ্যমে নিজের প্রতিভাকে তুলে ধরতে পারে ! কারো অনুমতির জন্য অপেক্ষা করার কোন প্রয়োজন নেই যা সম্ভব হয়েছে এই ইন্টারনেটের কল্যাণে !

যাদের লেখালেখি করতে ভালো লাগে তারা চাইলে একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করে তাদের লেখা প্রকাশ করতে পারে !
এবং সেই কনটেন্টগুলোকে বিভিন্নভাবে মনিটাইজ করার মাধ্যমে উপার্জন করতে পারে !

3. Start An Anline Store:-

ইন্টারনেটের কল্যাণে যে কোন পণ্য বা সেবা এখন মানুষের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে ! প্রায় যে কোনো ধরনের পণ্য বা সেবা মানুষ এখন ঘরে বসেই অর্ডার দিয়ে সেটা নিতে পারছে !

মানুষকে এই ধরনের সুবিধা গুলো নিজে নেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য মানুষদেরকেও এই ধরনের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার মাধ্যমে নিজের একটি অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে !

অনলাইনে এমন লাখো প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা বিভিন্ন ধরনের পণ্য বা সেবা দেওয়ার মাধ্যমে সফল ভাবে নিজেদের ব্যবস্থা কে পরিচালনা করছে ! এ ধরনের ব্যবসা গুলোকে মূলত বলা হয় ই-কমার্স ব্যবসা !

ইন্ডিয়ান একটি সংগঠন ইন্টারনেট এবং মোবাইল এক্সেসরিজ অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী 2020 সাল নাগাদ ইন্ডিয়ান ই কমার্স মার্কেট 6000 বিলিয়ান ডলারের উত্তীর্ণ হবে !

তাই এখন থেকেই একটি অনলাইন স্টোর বা Shop শুরু করার মাধ্যমে যে কোন পণ্য বা সেবা অফার করা ভবিষ্যতে লাভজনক হতে পারে !

যারা ক্রেতাদের পণ্য বা সেবা দেওয়ার মাধ্যমে অনলাইনে নিজের একটি উদ্যোগ গ্রহণ করতে চাই তাদের জন্য এই উপায়টি সেরা একটি উপায় হতে পারে !

একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে এ ধরনের ব্যবসায় কার্যক্রম পরিচালনা করা যেতে পারে !

এই টপিক রিলেটেড অন্যান্য আর্টিকেলগুলো আমার কি ব্লগে দেওয়া রয়েছে আপনি চাইলে আর্টিকেল গুলি পড়তে পারেন এবং সেখান থেকে বিষয়গুলো সম্পর্কে একটা সুস্পষ্ট ধারণা নিতে পারেন !

4. Start a Dropshipping Store:-

যে কোন ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করার জন্য প্রথমে কিছু বিনিয়োগ এর প্রয়োজন পড়ে, যা সবার পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠে না ! কিন্তু এমন অনেকেই রয়েছে যাদের কাছে স্বল্প পুঁজি আছে, যা দ্বারা তারা একটি উদ্যোগ নিতে চাই !

ই কমার্স ব্যবসা করতে পণ্য বা সেবার ইনভেন্টরিতে পূর্ব থেকে বিনিয়োগ এর প্রয়োজন হয় ! যাদের পণ্য বা সেবা মজুতে বিনিয়োগের সামর্থ্য নেই তারা চাইলে ড্রপ শিপিং করতে পারে ! ড্রপ শিপিংও একটা ই কমার্স ব্যবসার পদ্ধতি !

কিন্তু এই পদ্ধতিতে পণ্য বা সেবা মজুতে বিনিয়োগ করার প্রয়োজন হয় না ! প্রয়োজন একটি অটোমেটিক ড্রপ শিপিং ওয়েবসাইট ! যা কিভাবে তৈরি করতে হবে অলরেডি এই ব্লগে তার উপর একটা আর্টিকেল পাবলিশ করা আছে আপনারা চাইলে সে আর্টিকেলটি ফলো করতে পারেন !

5. Offer Skill Based Service:-

যেহেতু ইন্টারনেট প্রসারের সাথে থাকে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কার্যক্রম অনলাইনে পরিচালনা করছে তাই জব সেক্টরেও তৈরি হচ্ছে লাখো কাজের সুযোগ !

যেকোনো একটি দক্ষতা অর্জন করে সেই দক্ষতা কে অনলাইনে সেবা হিসেবে প্রদান করা যেতে পারে !

এমন অনেক অনলাইন মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে লাখো মানুষ তাদের দক্ষতা কে সেবা হিসাবে প্রদান করার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সাহায্য করতে পারে !

একটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সেবার প্রয়োজন হয়ে থাকে ! যার মধ্যে কিছু করে থাকে প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা, আর কিছু করে থাকে স্বাধীন কন্ট্রাকটর রা !

স্বাধীন কন্টাক্ট রা মূলত ফিক্স জব করে না ! তারা নির্দিষ্ট একটা সেবা একাধিক প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে থাকে !

যেমন অনলাইনে জনপ্রিয় কিছু স্বাধীন পেশা হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ডিজাইন, গ্রাফিক্স এবং ব্রান্ডিং ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, কাস্টমার সাপোর্ট এজেন্ট, এবং কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি !

এছাড়াও আরো হাজারো পেশা রয়েছে ! তাই কোনো ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে না পারলে চিন্তার কিছু নেই ! কোনো একটি দক্ষতা ভালোভাবে অর্জন করে অনলাইনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সেবা প্রদান করা যেতে পারে এবং স্থায়ীভাবে অথবা স্বাধীন ভাবে উপার্জন করা যেতে পারে !

আজকে এই পর্যন্তই আশা করছি এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগবে ! যদি এই আর্টিকেল থেকে আপনারা কোন কিছু শিখতে পারেন তাহলে আমার লিখাটি সার্থক হবে !

এবং আপনি চাইলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিতে পারেন ! এবং এই ব্লগটির সাথে কানেক্টেড থাকতে পারেন !

দেখা হবে Next আর্টিকেলে তখন সবাই ভাল থাকবেন খোদা হাফেজ!

Download this app and more money...

https://drive.google.com/file/d/1N1tSUitd2y7k8FLVY0hxHsdysBc5duZN/view?usp=sharing