যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বললেন মার্কিন দূত!
পরাশক্তিগুলোর সামরিক সক্ষমতা যত বাড়ছে, ঠিক ততই বাড়ছে যুদ্ধের শঙ্কাও। আর এমন প্রেক্ষাপটে অস্ট্রেলিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত ও দেশটির নৌবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা হ্যারি হ্যারিস বলেছেন, চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের জন্য আমেরিকাকে অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে। পাশাপাশি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আন্তর্জাতিক নীতি-নির্ভর ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতার জন্য অস্ট্রেলিয়ার ওপর নির্ভর করার আহবানও জানিয়েছেন তিনি।
হ্যারি বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর আধিপত্য বিস্তারের সুস্পষ্ট অভিপ্রায় দেখাচ্ছে বেইজিং। কাজেই চীনের সঙ্গে সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠছে।
মার্কিন কংগ্রেসের সশস্ত্র বাহিনী বিষয়ক কমিটির শুনানিতে অ্যাডমিরাল হ্যারিস বলেন, আঞ্চলিক অঙ্গনে চীনের আচরণ পর্যবেক্ষণ করে আমি এই আশঙ্কা করছি যে, শুধু প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চল নয়, সেইসঙ্গে গোটা বিশ্বে আন্তর্জাতিক আইন-ভিত্তিক ব্যবস্থা উপেক্ষা করতে যাচ্ছে চীন।
মার্কিন এই নৌ কর্মকর্তা আরও বলেন, এখনই যদি আঞ্চলিকভাবে চীনকে প্রতিহত করা না হয়, তাহলে ভবিষ্যতের রণাঙ্গনগুলোতে পিপলস লিবারেশন আর্মির সঙ্গে পেরে ওঠা কঠিন হয়ে যাবে।
চীন যেভাবে তার সামরিক বাহিনীর আধুনিকীকরণ করছে, তাতে অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে বলে অ্যাডমিরাল হ্যারিস আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
তবে অস্ট্রেলিয়ায় হ্যারি যদি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিশ্চিত হয়ে যান, তবে তার কঠোর অবস্থান ক্যানবেরাকে বিপদে ফেলে দিবে। কারণ অস্ট্রেলিয়া এখন চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে নরম অবস্থান গ্রহণ করতে যাচ্ছে।
No comments