ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা লতিফুর রহমান পলাশকে (৪৮) প্রকাশ্যে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান পলাশ উপজেলার কুমড়ি গ্রামের মৃত গোলাম রসুল শেখের ছেলে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সহস্রাব্দের উন্নয়নবিষয়ক সভায় অংশগ্রহণ করতে দিঘলিয়ার নিজ বাড়ি থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসেন লতিফুর রহমান পলাশ।
সভা শুরুর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ইউপি মেম্বার ফরিদ আহম্মেদ বুলুকে সঙ্গে নিয়ে চেয়ারম্যান পলাশ লক্ষ্মীপাশা সোনালী ব্যাংকের দিকে যান। তারা উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের কাছে পৌঁছালে ৪-৫ জন অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত প্রথমে চেয়ারম্যানের মাথায় গুলি করে রাস্তার ওপর ফেলে দেয়। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
এ সময় সঙ্গে থাকা মেম্বার ফরিদ আহম্মেদ বুলুর চিৎকারে উপজেলায় আগত বিভিন্ন ইউপির চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্যান্য অফিসাররা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। গুরুতর আহত অবস্থায় পলাশকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেবাশীষ বিশ্বাস তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসক দেবাশীষ বিশ্বাস জানান, লতিফুর রহমান পলাশের শরীর থেকে দুটি গুলি বের করা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
লতিফুর রহমান পলাশ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
লোহাগড়া থানার ওসি শফিকুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমড়ি গ্রামসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

No comments

Powered by Blogger.