নিশ্চিত হয়েই পরিচয়পত্রের জন্ম-তারিখ ও নাম পরিবর্তন


আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, জাতীয় পরিচয়পত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল এবং এর তথ্য খুবই স্পর্শকাতর। জন্ম-তারিখ বা নাম পরিবর্তন করে কিছু অসাধু ব্যক্তি অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। নিশ্চিত হয়েই পরিচয়পত্রের জন্ম-তারিখ ও নাম পরিবর্তন করা হয়।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে মো. আবদুল্লাহর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, জন্ম-তারিখ ও নাম পরিবর্তন করে অনেকে মামলা মোকদ্দমা হতে অব্যাহতি চাওয়া, জমিজমার মালিকানা হস্তান্তর, চাকরিপ্রাপ্তি ইত্যাদির মতো অনৈতিক সুবিধা নিতে পারে। এ জন্য উপযুক্ত প্রমাণাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সঠিকতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে জন্ম-তারিখ বা নাম পরিবর্তনের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সমীচীন হবে।
মন্ত্রী আরো জানান, এনআইডি সার্ভিস ইসলামী ফাউন্ডেশন ভবনে থাকাকালে জনবল স্বল্পতা, স্থান সংকটসহ কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল, নির্বাচন কমিশন যা শনাক্ত করে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় জনবল সংগ্রহ, কিউ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম স্থাপন, আবেদন জমা গ্রহণ ও কার্ড বিতরণ কাউন্টার স্থাপন, সম্মানিত প্রবাসী ও সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য আলাদা কাউন্টার স্থাপন, আবেদনকারীদের বসার সুব্যবস্থাসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, কাউকে যাতে দূরদূরান্ত হতে কষ্ট করে ঢাকায় আসতে না হয় সে জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র-সংক্রান্ত সব প্রকার সেবা ইতিমধ্যে উপজেলা/থানা পর্যায়ে বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থেকে সব প্রকার আবেদন গ্রহণ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়ে থাকে। যার জন্য কোনো আবেদনকারীকে সেবা গ্রহণের জন্য নিজ নিজ উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস ছাড়া অন্য কোথাও এমনকি ঢাকার এনআইডি উইং-এর আসার প্রয়োজন হচ্ছে না।
মন্ত্রী বলেন, শুধু হারানো/নষ্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের জরুরি সেবা ঢাকার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ভবনের দ্বিতীয়তলা থেকে সরাসরি প্রদান করা হয়। হারানো/ নষ্ট জাতীয় পরিচয়পত্র জরুরি পেতে পূর্বে নির্ধারিত কাউন্টারে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আবেদন জমা গ্রহণ করা হয়। বর্তমানে আবেদনকারীরা হারানো/ সংশোধনের আবেদন জমা দেয়ার পর ধাপে ধাপে তাদের প্রদত্ত মোবাইল ফোন নম্বরে আবেদনের অগ্রগতি জানানো হয়, সেজন্য কোনো কর্মকর্তার কাছে আবেদনকারীর সাহায্য-সহযোগিতা চাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, আগামীতে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে সরাসরি নির্বাচনের কোনো তথ্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নেই।
একই দলের বেগম শিরিন নাঈমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০০৮ থেকে ২০১৬ মেয়াদে সারা দেশে ৯টি আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, ৫৪টি জেলা নির্বাচন অফিস, ৩৯৪টি উপজেলা নির্বাচন অফিস ও ৯টি থানা নির্বাচন অফিস নির্মাণ ও ক্রয় করা হয়। ঢাকা মহানগরীতে জমির মূল্য অত্যধিক হওয়ায় সাতটি থানা নির্বাচন অফিসের স্পেস ক্রয় করা হয়। এগুলো হলো- ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, তেজগাঁও, গুলশান, মিরপুর, পল্লবী ও ক্যান্টনমেন্ট থানা নির্বাচন অফিস।

No comments

Powered by Blogger.