ব্রাজিলে অন্তত ৩২ হাজার বছর আগে থেকেই মানুষ বাস করে আসছে।

ফুটবলের কালো মানিকের কথা তো থাকলই। তিনি ছাড়াও রোনালদো, রিভালদোদের মতো খেলোয়াড়দের গুণে বিশ্বের মানুষের কাছেই অতিপরিচিত এক নাম ব্রাজিল। দক্ষিণ আমেরিকার সর্ববৃহৎ দেশ ব্রাজিলে রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বনাঞ্চল আমাজন। এ ছাড়া দেশটির ওপর দিয়ে বয়ে গেছে পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম আমাজন নদী। এক সময়ের সবুজে ঘেরা ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চল বর্তমানে দেশটির শিল্পের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বলে বিবেচিত হয়। দক্ষিণেই ব্রাজিলের গুরুত্বপূর্ণ শহর সাও পাওলো ও রিও ডি জেনিরোর অবস্থান। আয়তনে এ অঞ্চলটি দেশটির মাত্র ১১ শতাংশ হলেও মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৩ শতাংশ লোকের বাস সেখানে। ব্রাজিলে যত ধরনের পশুপাখির দেখা পাওয়া যাবে, পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে তা সম্ভব নয়। প্রায় ৬০০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, এক হাজার ৫০০ জাতের মাছ, এক হাজার ৩০০ প্রজাতির পাখি এবং বিভিন্ন ধরনের প্রায় এক লাখ পোকামাকড় পাওয়া যাবে দক্ষিণ আমেরিকার এ দেশটিতে। ব্রাজিলউড নামের এক ধরনের গাছের নাম থেকে দেশটির নাম হয়েছে ব্রাজিল। ব্রাজিলের রাষ্ট্রভাষার নাম পর্তুগিজ এবং ব্রাজিলই দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র দেশ, যেখানে পর্তুগিজ ভাষায় কথা বলা হয়। চিলি ও ইকুয়েডর বাদে দক্ষিণ আমেরিকার প্রতিটি দেশই ব্রাজিলের কোনো না কোনো সীমান্তে অবস্থিত। ১৮২২ সালে পর্তুগালের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ব্রাজিল। জনসংখ্যা ও আয়তন দুটি ক্ষেত্রেই বিশ্বে দেশটির অবস্থান পঞ্চম। ব্রাজিলের রাজধানীর নাম ব্রাসিলিয়া। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তি ব্রাজিল জাতিসংঘের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ফুটবল দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা এবং এ পর্যন্ত পাঁচবার ফুটবলের সর্বোচ্চ শিরোপা জিতে নিয়েছে ব্রাজিলিয়ানরা। কিছুদিন আগ পর্যন্তও বিজ্ঞানীরা ধারণা করতেন, মোটামুটি ১০ হাজার বছর আগে এশিয়ানরা প্রথম ব্রাজিলে বসতি স্থাপন করে। কিন্তু সম্প্রতি তাঁদের এ ধারণা পাল্টেছে। নতুন কিছু গবেষণায় তাঁরা প্রমাণ পেয়েছেন, অন্তত ৩২ হাজার বছর আগে থেকেই ব্রাজিলে মানুষ বাস করে আসছে।




No comments

Powered by Blogger.